Higher Study Series 16 — Advantages of Traveling for Higher Study Abroad
--
শিরোনামটা দেখে কেমন বিদঘুটে মনে হচ্ছে নাহ? ভ্রমণ করার সাথে Higher Study!! আসলে বিষয়টা কি? বেশি বেশি দেশ ঘুরলেই Higher Study হয়ে যাবে?
সে সব কথা বাদ দেই। এই ব্লগে আজ জানাব Traveling কিভাবে আমাকে বিভিন্নভাবে সাহায্য করেছে Scholarship যোগাড় করতে।
হ্যাঁ, এখন বলে নেওয়া ভালো এই Traveling মানে আমি বুঝচ্ছি দেশের বাইরে কোথায় ঘুরতে যাওয়া। কিন্তু দেশের ভিতর ঘুরলেও অনেক কিছু শেখা যাবে। প্রতিটি ভ্রমণই আপনাকে প্রথমে দেখার সুযোগ দিবে তারপর গল্প বলাতে শিখাবে। আপনি ঘরকুনো হলেও গল্প বলবেন ই।
আমার দেশের বাইরে যাওয়ার সুযোগ হয় 2016 সালে। আমি Mozilla তে Contribution করতাম। Delhi তে Mozilla localization এর উপর একটি Workshop এর আয়োজন করেছিলো এই উপমহাদেশের সবগুলো দেশের Contributor দের নিয়ে। যদিও Mozilla পুরো খরচ বহন করেছিলো। ব্যস সেই থেকেই শুরু হয়ে গেলো আমার বিদেশ ভ্রমণ।
তারপর কলকাতা, হরিয়ানা, মালয়েশিয়া, নেপাল, থাইল্যান্ড বহু ঘুরেছে। এমনকি ২০২০ সালের মার্চের ৫ তারিখ শেষ বার মালয়েশিয়া থেকে দেশে ফিরি। ভাগ্য সহায় ছিলো। তারপরই সব কিছু প্রায় বন্ধ হয়ে যায়। তারপর থেকেই যদিও আমি ঘরে বসে থাকা। সামনে ভবিষ্যতে আবারও ভ্রমণ করা শুরু হবে আশা করি।
আমার কাছের ২-১ জন বন্ধু যারা সবসময় ভালো চায় তারা আমাকে বলত “তুই ভ্রমণ করে করে এত টাকা নষ্ট করছিস কেন”? আমি চুপ চাপ থাকতাম। কারণ আমি মনে হয় মালয়েশিয়া, নেপাল, থাইল্যান্ড ঘুরতেই প্রায় 4 লাখ টাকা ব্যয় করে ফেলেছিলাম। ও সময় ওদের কিছু বলতাম নাহ। আজ সে উত্তরগুলো ব্লগে লিখছি।
কি হাতি ঘোড়া মারলাম এসব ভ্রমণ করে?
- আমার কলকাতা ভ্রমণে হোটেলের বিল পরিশোধ হওয়া নিয়ে গল্প। আমাদের টিমের কাছে বাংলা টাকা ছিলো পর্যাপ্ত কিন্তু হোটেল (নাখোদা মসজিদের সামনের একটি হোটেল) মালিক সে কোন মতেই রুপি ছাড়া নিবে নাহ। অবশেষে আমার তাৎক্ষণিক বুদ্ধিতে আমার টিম লিডার ট্যাক্সি ড্রাইভারের কাছে থেকে 400 রুপি নিয়ে ভাড়া মিটিয়ে পার্সপোর্ট নিয়ে এয়ারপোর্টে চলে যাই। পরে ড্রাইভারকে বাংলা টাকায় বেশ কিছু বেশি টাকাও দিয়েছিলাম আমরা। ড্রাইভার খুশিও ছিলো। -> এখানে আমার Instant Brain Use এর সক্ষমতা প্রমাণ দেয়।
- হরিয়ানা তে সারা রাত বাস ড্রাইভারের সাথে থেকে সকাল বেলা তাজমহল দেখতে ট্রেনে উঠে পড়ি। তাজমহল দেখে ওই রাতেই দিল্লীতে ফিরি। কারণ ভোরে ফ্লাইট ছিলো। -> এখানে আমার কোন কাজের প্রতি Determination, Facination কত তা প্রমাণ দেয়।
- নেপাল ভ্রমণে ভোর ৩ টায় উঠে নাগরকোটের ভিউপয়েন্টে চলে যায়। আর পাহাড়ী হিংস্র কুকুর গুলোও আমার সঙ্গী হয়েছিলো =D যদিও কুয়াশায় এভারেস্টের টিকিও দেখতে পায় নি =D -> এখানে আমার যে সাহস আছে সেটা প্রমাণ দেয়।
এই গল্প গুলো থেকে কয়েকটা আমার প্রফেসরকেও শুনিয়েছিলাম। এবং Output কি সেটাও বলেছিলাম। বেশ খুশি হয়েছিলেন বেচারা।
এবার আসি সবার জন্য। আসলে Higher Study এর আগে দু একটা দেশ ভ্রমণ করলে কি হয়?
১) Passport, Visa নিয়ে বিস্তারিত ধারণা পাওয়া।
২) Airport এ কিভাবে কখন কি করতে হয় তা নিয়ে অভিজ্ঞতা।
৩) Dollar Endorsement, Air ticket purchase, seat allocation এসব নিয়ে স্বচ্ছ ধারণা হয়।
৪) Immigration বিভিন্ন obstacle এ পড়লেও কিভাবে মাথা ঠান্ডা রেখে পরিস্থিতি সামাল দিয়ে হয় জানা যায়।
৫) Baggage, Cabin Baggage এসব নিয়েও অনেক ধারণা হয়।
৬) Hotel Booking, Tourist locations management, নতুন অচেনা শহরে টই টই করে ঘুরে বেড়ানো তাও Map ব্যবহার করে, Metro rail ব্যবহার শেখা।
৭) সবশেষে ভ্রমণ গল্প!! যেটা হয়ত টাকা দিয়ে কেনা যাবে নাহ।
কিছু ভুল থেকে শিক্ষাও পাওয়া যায়। যেমন প্রথম বার Dollar Endorse করতে আমি 1600 টাকা খরচা করি শুধু অজ্ঞতার কারণেই! ভাবা যায়!! সাধারণত কোন বাংলাদেশ ব্যাংক অনুমোদিত Money Exchanger ই নকল নোট দেয় না। তাই পরিচিত Money Exchanger বের করাও একটা ব্যাপার। আর এসব করতে Money Management এরও বিশাল জ্ঞান পেতে পারেন।
আর হ্যাঁ ভিসা প্রসেসিং। এটাও চমৎকার ও বড় একটা অভিজ্ঞতা। আমাদের অনেকেরই শুধু অজ্ঞতার কারণেই অনেক দেশের ভিসা হয় নাহ। বলা ভালো, আমি Singapore এ সম্ভবত ২ বার, England এ ১ বার (Fully funded Conference ছিলো), এমনকি India তেও প্রথম ২ বার ভিসা পাওয়ার পরও ৩য় বারে ভুল ভাল তথ্য দেওয়ার কারণে ভিসা Reject হয়েছিলো। এসব অভিজ্ঞতাও কিন্তু কম নাহ!!
আর বলে রাখা ভালো। অনেক সময় ই বিদেশে ভ্রমণের সুযোগ আসে কিন্তু আমার দেখা অনেকে ই শুধু Passport ready না থাকার কারণে যেতে পারেনি!! ভাবা যায়? তাই Higher Study এর ইচ্ছা থাকলে Bachelor এর প্রথম বর্ষেই Passport ready করে ফেলা উচিত।
আর হ্যাঁ, এ পর্যায়ে এসে বলতে পারেন “ভাই নিজের টাকায় ভ্রমণে তো প্রচুর টাকা লাগে”!! হ্যাঁ তা তো লাগেই। বাবা বা পরিবারের সামর্থ্য থাকলে তাদের থেকে নিবেন। আর হ্যাঁ, আমি নিজের সামর্থ্যতেই ভ্রমণ করতাম। আমি মনে করি বাংলাদেশের বড় শহরগুলোতে যে বিশ্ববিদ্যালয়গুলো, সেসবের শিক্ষার্থীরা টিউশনি করেও টাকা জমাতে পারে। এমনকি আমার অনেক বন্ধু ই তাদের টিউশনির টাকা জমিয়ে, বৃত্তির টাকা জমিয়ে বিদেশ ঘুরতে যেতো। বলা ভালো, ব্লগ লিখার মাধ্যমে আমি শেষ Malaysia ভ্রমণের Sponsor যোগাড় করেছিলাম =D =D
মোটকথা, ইচ্ছা থাকলে এভারেস্ট জয় করাও অসম্ভব নাহ। আপনি যাই হন না কেন।
আজ এ পর্যন্তই। সামনের ব্লগটা লিখব হয়ত নতুন কিছু নিয়ে। সে পর্যন্ত সঙ্গেই থাকুন। আমার পোস্টে Like, Comment, Profile Follow এসব করে আমার ব্লগ লেখায় উৎসাহ দিতে পারেন। আর আমার সব লেখা একসাথে পেতে #smsnobin77_higher_study দিয়ে সার্চ করতে পারেন Facebook এ।
S M Sarwar Nobin
MS Student and Graduate Research Assistant (Computer Science),
University of Texas Rio Grande Valley, Texas, USA
শুভ কামনা
সকল উচ্চশিক্ষা প্রার্থীদের।
#smsnobin77_higher_study